-কেন ডেকেছ? -তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছিল। -তাই নাকি? দেখা তো হয়েছে এখন আমি যাব। আর কিছু বলবা? -ছোটন, আই এম সরি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। এ কথা বলেই রাইসা ছোটনের হাতটা ধরল। সাথে সাথে ছোটন এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নিল। অথচ এই হাত ধরার জন্য সে এক সময় কত পাগল ছিল। তীব্র রোডে পুড়ে কিংবা বরষায় কাক ভেজা হয়ে কতদিন সে ছুটে গেছে রাইসার কাছে-শুধু তার হাতটা ধরবে বলে! কিন্তু মজার ব্যাপার ছিল। সামনা সামনি হলে সে যেন স্ট্যাচু হয়ে যেত। শুধু তার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকত। তেমন কিছু বলতে পারত না, কিছু করতে পারত না। এমন কি এক সাথে রিকশায় ঘোড়ার সময়ও সে মুগ্ধ নয়নে রাইসার দিকে কেবল তাকিয়েই থাকত। রাইসা আবার বলা শুরু করে, আমি জানি আমি তোমার সাথে চরম অন্যায় করেছি। আমি এখন বুঝতে পারছি আমি জীবনে কি ভুলটাই না করেছি। প্লিজ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। -তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছ? আমার কাছে? আজিব! -আমি জানি তুমি আমাকে ক্ষমা না করলে আমার বাকি জীবনটা ভাল কাটবে না। -কেন কাটবে না! জীবনে যা চেয়েছ তা-ই তো পেয়েছ! কি যেন নাম ছেলেটার... ওই যে যাকে নিয়ে তুমি নতুন করে ভেবে ছিলে...জানো তোমার সেই এসএমএসটা আজও আমার মোবাইলে আছে... তুমিই তো বলেছিলে আমি জানি না কিভাবে ভালবাসতে হ্য়...তোমার সে জানে...সে তো তোমারই আছে। আমাদের এতদিনের জানা শোনা যার জন্য তোমার কাছে ফিকে হয়ে গেল... তাহলে তোমার এত কষ্ট কিসে? - আমি জানি তুমি আমার উপর অনেক রেগে আছ? কিন্তু আমি ভুল করেছি। ও ছিল একটা প্রতারক। চিট! আমি তা অনেক পরে বুঝতে পেরেছি! ও আমার সব শেষ করে দিয়েছে! আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। রাইসা কাঁদতে শুরু করে। কি হবে এতদিন পর মাফ করে! ছোটন আর রাইসার কাছে দাড়ায় না। সে চলে যায়। পেছনে পড়ে থাকে রাইসা। ছোটনের খুব ইচ্ছা করে শুধু একবার, শুধু একবার প্রিয় মুখটা পিছনে তাকিয়ে দেখে। ইচ্ছে করে ছুটে গিয়ে তাকে বলে, রাইসা আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। এতটা আমি নিজেকেও বাসি না। কিন্তু ছোটন ফেরে না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সাদাত শাহরিয়ার
এটা দেখে আমার অনেক ভাল লাগছে যে অনেকে আমার গল্পটা পড়েছেন। আমি নিজেও বুঝতে পেরেছি যা আমি বলতে চেয়েছি সেটা আর একটু বড় করে লিখলে ভাল হত। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।